ধূসর বৃদ্ধ একটা পাঞ্জাবী,
চোখে আতশ থুরি
চশমা , ঈশ্বরভক্তি আর
বিপন্ন দাঁতের সারি বইছেন
অগণিত দুপুর ধরে........................ লক্ষ্মীকান্ত বাবু ।
তার ঘরের লক্ষ্মী ক্ষান্ত নন
তবে উষ্ণশোণিত বটে ।
কুস্মণ্ডের কাল জ্ঞান নেই বলেই
ছেলেটা বেকার, পেট ভোরে রোজ
প্রচুর গুটখা আর বাবার গাল খায়।
বছর খানেক আগে তার লক আউট হওয়া
কারখানায়...খালি পায়ে যাওয়া যায়
তিন-চার মাস আগে
কেরানি কার্তিকবাবু
এক শ্রমিক সংগঠনের সভায়
গায়ে পেট্রোল ঢেলেছিল
আর
জ্বালিয়েছিল দেশলাই
অতিশিক্ষিত এক বাচাল বলেছিল
হিস্টিরিয়া...।।
আরেক মেয়ে লক্ষীবাবুর
পড়াশুনা করে কম
বাসন মাজে বেশী...
একদিন নাকি পাড়ার
আরেকটা মেয়েকে পড়াতে শুরু করেছিল
আর যায় না
মা বলেছে
'মেয়েটার বাবা কে কেউ জানে না'
লক্ষীবাবুর টালির ঘর থেকে
চাঁদ দেখা যায়
স্বপ্ন নয়...।
গতমাসে এক মন্ত্রী এসে পাড়ার
সবাইকে উঠে যেতে বলেছেন
গন্তব্য
.........খেয়াল নেই
ছেলেটা কদিন হল
কোন মেয়েকে নিয়ে পালিয়েছে
খবর পাননি, চানওনি...
এদিকে মেয়েটাও কাল রাতে
খুব দেরিতে এক বাড়ি থেকে ফিরেছে
আর প্রচুর কেঁদেছে।
এদিকে ধুঁকতে থাকা ফুসফুস
আর বিলুপ্তপ্রায় দৃষ্টিশক্তি নিয়ে
এখনও লক্ষীবাবু রাস্তার ধারের কলে
রোজ সকালে দাঁত মাজেন...
মাঝে মাঝে শুধু
মাড়ী থেকে রক্ত পরে
আর চশমা গড়িয়ে জল......
দেখেন
ঈশ্বর দাঁড়িয়ে থাকেন
রাস্তার ওপারে
একা......।।
No comments:
Post a Comment